ঢাকা: পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে মটু-পাতলু কার্টুন দেখানোর কথা বলে ধর্ষণ করেছিলেন আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী পরিবারের দায়েরকৃত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন আসাদুল। তিনি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন মাধবপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শিহাব করিম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৪মে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে মুঠোফোনে মটু-পাতলু দেখানোর কথা বলে নিজ রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসাদুল। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে তার মা আসাদুলের ঘরে আসেন। এ সময় আসাদুল পালিয়ে যান।
পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে আসাদুলের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা আদালতে গেলে অবগত সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমাণসহ বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। এতে আসাদুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এরপর থেকেই আসাদুল দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ তার অবস্থান জানতে পারে। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদস্যরা গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেপ্তার হন আসাদুল।
তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসাদুল ৬ মাস জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন-যাপন শুরু করেন। সর্বশেষ তিনি একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলেন।
আসাদুলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে দারুস সালাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান শিহাব করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
এসজেএ/এমজে