খুলনা: শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে গল্লামারী মোড় সংলগ্ন খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের সাফায়াত ইসলাম সাগর নামে এক শিক্ষার্থীকে ট্রাকচালকসহ স্থানীয় তিনজন হামলা করে আহত করেন। এতে তার নাক ও ঠোঁট ফেটে যায়। এটা যখন আমরা জানতে পারি তখন এসে পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিউচুয়্যাল করার চেষ্টা করি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান করছিলাম। সোনাডাঙ্গা থানার দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) রহিত ও অর্শিদ এসেছিলেন। তাদের আচরণে মনে হচ্ছিল আমরা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছিলাম তাদের পক্ষ থেকে এসেছেন। তাদের থেকে এ সময় অনেক বাজে মন্তব্য আসছিল। এমন কী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও বাজে মন্তব্য আসছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা যারা ওখানে ছিলাম তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়ে দাবি করে বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করেছেন। তারা বলেন, আমি এ ক্যাম্পাস থেকে এসেছি, তোমরা কী করতে পারো জানি। তোমরা তো শুধু পারো গ্যাঞ্জাম করতে। তোমরা যদি পারো গল্লামারী সড়ক আটকাতে তাহলে করো। আমরা আমাদেরটা দেখে নেব। বোমা বাজির মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এর প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলাম। আমাদের দুটি দাবি ছিল। প্রথম দাবি যে তিনজন হামলাকারী ছিল তাদের গ্রেপ্তার করা ও দ্বিতীয় দাবি পুলিশের এসআই রহিত ও অর্শিদকে প্রত্যাহার করা। প্রথম দাবি পুলিশ প্রশাসন পূরণ করেছে। দ্বিতীয় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। এরপর পুলিশ কমিশনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন এমন আশ্বাস দেওয়ায় বিকেল সাড়ে ৩টায় আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, খুবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগে ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
এমআরএম/আরবি