কুমিল্লা: কুমিল্লার বরুড়ায় হরিপুর আগানগর উচ্চবিদ্যালয়ে নিখরচায় চোখের চিকিৎসা পেয়েছেন এক হাজার ৬০০ মানুষ। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দলে দলে মানুষ আসছে চিকিৎসা সেবা নিতে। বরুড়ার তিন ইউনিয়ন-খোশবাশ উত্তর, খোশবাশ দক্ষিণ ও পয়ালগাছার চক্ষু রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের মধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়, দেওয়া হয় চশমা। এই রোগীদের মধ্য থেকে বসুন্ধরা আই হসপিটালে ৩৪১ জনকে বিনামূল্যে অপারেশন সেবা দেওয়া হবে।
হরিপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সালেহা বেগম বলেন, চোখে অনেক দিন ধরে ছানি পড়ে আছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। আজকে স্যারেরা সুন্দর করে চোখ দেখেছেন, ওষুধ দিয়েছেন, ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করবেন বলেছেন। আমি খুব খুশি।
পয়ালগাছা গ্রামের আবুল হাসেম বলেন, দূরের জিনিস কম দেখি। শহরে ডাক্তার দেখিয়েছি, কাজ হয়নি। তাই এখানে দেখাতে এসেছি।
হরিপুরের ছফুরা বেগম জানান, ঠিকভাবে চোখে দেখি না। টাকাপয়সা নাই। তাই চিকিৎসা করাতে পারি না। আজকে যারা বিনা পয়সায় আমাদের চিকিৎসা করেছেন, তাদের জন্য দোয়া করি।
এই চক্ষু ক্যাম্পের সমন্বয়কারী মোয়াজ্জেম হোসেন কল্লোল জানান, বরুড়ায় এটি তৃতীয় ধাপের আই ক্যাম্প। এর আগে ঝলম ও পয়ালগাছা ইউনিয়নে ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে চার হাজার ৪০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। বিনামূল্যে অপারেশন করা হয় ৭৮৯ জনকে।
আবু তাহের ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন জানান, বরুড়ায় আরও চারটি ক্যাম্প করা হবে। ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নয়, মানুষের দোয়া পাওয়ার জন্য এই আয়োজন।
চক্ষু চিকিৎসক রিপন আলী বলেন, আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমাদের দলে ডাক্তারসহ ১৩ জন কাজ করেছেন। অপারেশনের জন্য বাছাইকৃতদের পরে বসুন্ধরা আই হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
আরএইচ