ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি পানি থেকে উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ওয়াটার বাসটি পানি থেকে উত্তোলন করা হয়।
দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ওয়াটার বাসডুবির ঘটনার এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিও পানি থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীসহ ওয়াটার বাসডুবির ঘটনার এ পর্যন্ত মোট আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে জীবিত উদ্ধার পাঁচজন (পুরুষ ২ জন এবং নারী ৩ জন) এবং অচেতন অবস্থায় উদ্ধার তিনজন (একজন কিশোর ও দুজন পুরুষ)। অচেতন তিনজনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ নৌ-টহল ঘটনাস্থলে বিদ্যমান রাখা হয়েছে। কোনো লাশ ভেসে উঠলে বা ভেসে ওঠার সংবাদ পেলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোববার ১৬ জুলাই রাত সোয়া ৮টার দিকে বুড়িগঙ্গার লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার সময় এমভি আরাবি নামে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়।
এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী টাগবোট অগ্রদূত রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য উদ্ধার যানটি পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
পরে অগ্রদূত টাগবোটটি ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি টেনে পোস্তগোলার পাশে হাসনাবাদ এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি পানি থেকে উত্তোলন করে।
এতে নতুন কোনো হতাহতের সন্ধান মেলেনি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ওয়াটার বাস ডুবির ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৪০ জন কর্মী ও সদর দপ্তরের আটজন ডুবুরি একযোগে চেষ্টা চালিয়েছেন। একই সঙ্গে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডও উদ্ধারকাজে অক্লান্ত সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ