ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুই কমিটি গঠনের কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী, সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
দুই কমিটি গঠনের কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী, সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা

ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর-দফতরের কর্মকর্তারা ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি দুটি আগস্টের শেষদিকে গঠন করা হবে।

সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল এবং ডিসেম্বরে শীতকালীন ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগুলো নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করা হবে। আগামী রোববার (২৩ জুলাই) থেকে নিয়মিত ক্লাস চলবে।  

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব শ্রেণির পাঠদান ও মূল্যায়ন শেষ করার নির্দেশও দেন শিক্ষকদের। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।  

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ মিনিট সময় চান শিক্ষকরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। সময় না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এ ঘোষণা দেন। এর আগে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখান থেকে এসে সেগুনবাগিচার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিটিএ কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিটিএ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সভায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতারা বলেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা নাকি স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা এ মন্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানাই। তবে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।  

তিনি বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে শিক্ষক প্রতিনিধিদের রাখার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী তাতে রাজি হননি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তিনি গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেছেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর এ সভায় সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা কষ্ট পেয়েছি। তারপরও তিনি আমাদের অভিভাবক, তিনি যে কমিটি করে দিচ্ছেন এটিও আমাদের একটি বিজয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ মিনিট সময় চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সময় না দেবেন আমরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাব না। আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে না বসবেন, যত প্রকার পুলিশি নির্যাতন করা হোক, রক্ত ঝরুক, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এমআইএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।