ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ডিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন হিরো আলম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
ডিবি কার্যালয়ে যাচ্ছেন হিরো আলম

ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের দিন হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে যাচ্ছেন একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

ডিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।

হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের শনাক্তের উদ্দেশে তাকে ডাকা হয়েছে।

হিরো আলম বলেন, আমার ওপর যে হামলা হয়েছে, সেই হামলাকারীদের শনাক্ত করার জন্য ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ আমাকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকেছেন। আমি সেখানে যাচ্ছি। পথে আছি।

ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের দিন সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে মারধর করেন। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে তাকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।  

পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান।

এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫ থেকে ৬ জন সহযোগীসহ তিনি বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশে তাকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।  

মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশে তাকে কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরেকজন এসে তার তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।

মামলার বাদী হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহযোগী সুজন রহমান শুভ এজাহারে আরও অভিযোগ করেন, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় তার ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে জখম করেন আসামিরা।

এ হামলার ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত।  

অপর পাঁচ আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।