ঢাকা: কোনো হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীকে ফিরিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এফডিসিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা নিয়ে ছায়া সংসদ বিষয়ক ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারি আকার নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশিদ আলম বলেন, মহামারীর একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। সেটার সাথে বর্তমান ডেঙ্গুর অবস্থা যায় না বলেই আমি জানি। তবে এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। আমি এই প্রশ্নটা তাদের কাছেই রাখবো।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি অবস্থা জারির পরিস্থিতি প্রয়োজন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আপনারা দেখেছেন করোনার সময় জরুরি অবস্থা বা লকডাউন যখন ছিল, তখন জনজীবনের কি অবস্থা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন লকডাউন এবং কাজ দুটোই চালাতে হবে। যার কারণে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃত্তি কমেনি। অনেক অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় বন্ধ থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। জরুরি অবস্থা জারি করার আগে যারা পলিসি তৈরি করেন, তাদের সিদ্ধান্ত আসলেই ভালো হয়।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকায় আপনার মন্তব্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যদি পরস্পরকে দোষারোপ করি তাহলে কাজ হবে না। গঠনমূলক সমালোচনার জায়গা থেকে আমরা বলতে পারি কোন কোন জায়গায় আরও কাজের সুযোগ রয়েছে। আমরা সেই কাজটি প্রথম থেকেই করছি। মার্চ বা এপ্রিল মাসে আমরা আগাম একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলাম। আমরা সিটি কর্পোরেশনকে জানিয়েছিলাম এই বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হতে পারে এবং তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এই অবহিতকরণটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আমরা আমাদের কাজটুকু করেছি। পাশাপাশি কোন এলাকা থেকে রোগী বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, আমরা সেটা চিহ্নিত করে সিটি কর্পোরেশনের কাছে পাঠাচ্ছি। তারা যেন দ্রুত সেখানে পদক্ষেপ নেন।
ডিএনসিসি এবং সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে জায়গা না থাকার অজুহাতে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানতে চাইলে আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, আপনারা আমাকে তথ্য-উপাত্ত দেন, কবে কোন জায়গা থেকে কোন রোগীকে কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমরা এক ঘণ্টা ব্যয় করি হাসপাতালগুলোর সাথে যোগাযোগ করার জন্য। এটা তথ্য-প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ব্যবস্থার কারণে সম্ভব হয়েছে। ঢাকা শহরে বসে আমি যদি চাই তাহলে টেকনাফ এবং তেতুলিয়ায় কথা বলতে পারি। আমরা প্রতিদিন ফলোআপ করি। আপনারা যে হাসপাতালের কথা বললেন, এখান থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আমাকে অনুগ্রহ করে জানান। কবে কোন রোগী, কীভাবে ফেরত গেছে, আমি সেটার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে প্রস্তাবের পক্ষে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং বিপক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর বিতার্কিকরা অংশ নেন। নাগরিক সচেতনতাই পারে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে শীর্ষক ছায়া সংসদে বিপক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিতার্কিকরা জয়ী হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
আরকেআর/এমজে