জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. শামছুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রতিদিনই অনেক শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসে। যাদের ভেতর গড়ে তিন থেকে চারজন ডেঙ্গু পজিটিভ পাওয়া যায়। ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত নাজমুল হোসেন জানান, প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী টেস্ট করাতে আসে। আমরা পরের দিনই রিপোর্ট দিয়ে দেই। কোনো কোনো দিন তিনজনের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। আবার কোনো কোনো দিন আটজনেরও ধরা পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হৃদয় বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি প্রতিদিনই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন। আমাদের ক্যাম্পাসেরও কেউ আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। ডেঙ্গু ক্যাম্পাসে প্রকট আকার ধারণ করার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ডেপুটি রেজিস্টার আব্দুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ফগিং স্প্রের কাজ চলমান আছে। হলগুলোতে স্প্রে করা শেষ হয়েছে এখন আবাসিক বাসা-বাড়িতে কাজ চলছে। নিয়মিত ডোবা, ড্রেন, নর্দমা পরিষ্কার রাখতে এস্টেট শাখা কাজ করছে।
কীটতত্ত্ববিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, ফগিংয়ের মাধ্যমে মশা নির্মূল খুব কার্যকারী পদ্ধতি নয়। মশা নিধনে মশার প্রজননস্থল নষ্ট করতে হবে। এজন্য ফগিংয়ের পাশাপাশি মশার প্রজননস্থলে লার্ভিসাইড (লার্ভা নিধনের ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এসআইএ