ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

পানগুছি নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু, স্বস্তিতে এলাকাবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
পানগুছি নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু, স্বস্তিতে এলাকাবাসী

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে পানগুছি নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।  

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা লঞ্চঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের নদীর তীরে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এই কাজের উদ্বোধন করেন।

 

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. সফিউদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ, মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ-ই-আলম বাচ্চু, মোরেলগঞ্জ পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদারসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন পর হলেও এলাকাবাসীর মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে এই নদীর তীর রক্ষাবাধঁ প্রকল্প। তবে তীর রক্ষাবাধেঁর পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র যায়, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে পানগুছি নদীর তীর ভাঙন ও বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার ভাটার পানিতে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শতশত বসতবাড়ি, নদীর তীরবর্তী হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়। দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পানগুছি নদীর তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয় সরকার।  

পানগুছি নদীর ভাঙন থেকে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর ও সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ ও বিষখালী নদী পুনঃখনন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ৫২ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন কাজ করা হবে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫৯ কোটি টাকা। এই টাকায় ১০ কিলোমিটার নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ, এক কিলোমিটার মেরামত, বিষখালী নদীর ২৩ কিলোমিটার পুনঃখনন ও ৫টি খাল পুনঃখনন করা হবে। এসব কাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক মো. সফিউদ্দিন বলেন, ৬৫৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পানগুছি নদীর ভাঙন রোধ হবে। এছাড়া অন্যান্য কাজের ফলে এলাকাবাসী অনেক সুবিধা পাবে। আশা করি নিদিষ্ট সময় অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।