নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের মামলায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাত ১২টার দিকে রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন, মো. মুকুল আরিন্দা (৩৫) ও মো. আলামিন (২১)।
আটক মুকুল আরিন্দা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের আয়েজ উদ্দিন আরিন্দার ছেলে ও আলামিন একই উপজেলার ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের মো. শহিদের ছেলে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। মামলা তদন্ত ও আটকের স্বার্থে পুলিশ অন্য আসামিদের নাম পরিচয় দেয়নি।
এর আগে শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে পূর্ব মাধনগর গ্রামে এই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। শনিবার এ ঘটনায় দিনগত রাতে নলডাঙ্গা থানায় মতিউরসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে মারপিটসহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরের দিকে পূর্ব মাধনগর গ্রামের হাসান আরিন্দার ৯ বছর বয়সী শিশু তার মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় তার চাচাতো ভাই মতিউর রহমান তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা এক আত্মীয়র মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার কথা বলে তাকে ডাক দেয়। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ওই শিশুটি মতিউরের সঙ্গে প্রথমে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ আরিন্দার বাড়িতে যায়। পরে পাশেই গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই শিশুকে। সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মতিউর ওই শিশুকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে মতিউর পালিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানালে তারা সন্ধ্যার দিকে মতিউরের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মতিউরসহ তার সহযোগীরা রাতেই ওই শিশুটির বাড়িতে গিয়ে বাড়ির জানালা ভাঙচুরসহ মা-বাবাকে মারপিট করে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এই তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামিকে আটক করা হয়। রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রধান আসামি মতিউরসহ অপর আসামিরা পলাতক রয়েছে। মতিউর রহমান ওই গ্রামের মুকুল আরিন্দার ছেলে। অন্যদের তাদের গ্রেপ্তারে তৎপর আছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এসএম