ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পিয়াজখালী গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে রাবেয়া বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ওই গ্রামে বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাবেয়া বেগম উপজেলার পিয়াজখালি বাছারডাঙ্গী গ্রামের মৃত রাজন বাছার ও হাচিনা দম্পতির মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে একই গ্রামের রাবেয়া বেগমের সঙ্গে হাবুল বেপারীর পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। গত শুক্রবার (১১ রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাত আনুমানিক ১০টার সময় স্ত্রী রাবেয়াকে হত্যা করে তার মরদেহ বাথরুমের ট্যাংকের ভেতর রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। পরের দিন সকালে রাবেয়া বেগমের খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে এবং সদরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে, রোববার বেলা ৩টার সময় বাড়ির চারপাশে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গন্ধ কোনো দিক থেকে আসছে এই নিয়ে বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে বাথরুমের ট্যাংকের ঢাকনা এলোমেলো দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ঢাকনা সরালে মরদেহটি ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ জানায়, ধারণা করা হচ্ছে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন হত্যা করে তার মরদেহ সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়:২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এসএম