নাটোর: নাটোরের লালপুরে বড়াল নদীতে গোসল করতে গিয়ে মোছা. উর্মি খাতুন (১৯) ও বড়াইগ্রামে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে মোছা. আম্বিয়া খাতুন (৫০) নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে লালপুর উপজেলার ধুপইল চকপাড়া এলাকা ও বড়াইগ্রামের জালশুকা গ্রামে এই দুই ঘটনা ঘটে।

নিহত উর্মি ওই এলাকার রাজমিস্ত্রী মিনাউলের স্ত্রী এবং আম্বিয়া খাতুন ওই গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আব্দুর রহমান প্রামাণিকের স্ত্রী। উর্মির ৬ মাসের এক শিশু সন্তান আছে।

দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মুনজুরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার দুপুরে ধুপইল চকপাড়া এলাকার উর্মি খাতুনসহ তিন নারী বড়াল নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় উর্মি খাতুন নদীতে ডুব দিলে সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ওই নারীর সন্ধান না পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয় ফায়ার সার্ভিস। পরে রাজশাহী থেকে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরি দল এসে ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিখোঁজ হওয়া ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ গজ দূর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক  বাংলানিউজকে জানান, বিকেল ৩টার দিকে জালশুকা গ্রামের আম্বিয়া খাতুন নামে ওই নারী নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বাড়ির একটি মাটির দেয়াল ভেঙে তার গায়ের ওপর পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
এফআর