ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন

বরিশাল: বরিশাল নগরীতে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফয়েজুল হক ফয়েজ।

তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় শাহারিয়া খান ওরফে শাকিল ও ইমাম হোসেন হাওলাদার আদালতে উপস্থিত থাকলেও দণ্ডপ্রাপ্ত বাছেত খান ওরফে বাঘা পলাতক রয়েছেন। বাঘা বরিশাল নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোডের খান সড়কের বাসিন্দা মরহুম আজিজ খানের ছেলে। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল একই এলাকার মতিয়ার রহমান খানের ছেলে এবং ইমাম হোসেন ওই এলাকার আব্দুস ছালাম হাওলাদারের ছেলে।

শিশু তন্বী আক্তার (৯) একই এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর টুনু পালোয়ানের কন্যা। সে নগরের নবগ্রাম রোড এলাকার ফজলে উলুম মাদ্রাসার নার্সারির ছাত্রী ছিল।

মামলার বরাতে ট্রাইব্যুনালের স্টোনোগ্রাফার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় শিশু কন্যা তন্বী তার বাবাকে খুঁজতে বের হয়। পথিমধ্যে শাকিল খান তন্বীকে ফুসলিয়ে পরিত্যক্ত টিনের ঘরে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তন্বীর মুখ বেঁধে শাকিল, বাঘা ও ইমাম পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তন্বীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নগরের খান সড়কের পাশে একটি ডোবায় ফেলে রাখে। পরদিন তন্বীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর বাবা টুনু পালোয়ান অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। পরে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর রহমান তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক মামলার ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পলাতক বাঘার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।