ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রযুক্তির ক্ষতিকর ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকাই সাংবাদিকদের বড় চ্যালেঞ্জ: ফরিদা ইয়াসমিন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
প্রযুক্তির ক্ষতিকর ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকাই সাংবাদিকদের বড় চ্যালেঞ্জ: ফরিদা ইয়াসমিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, ‘একজন সাংবাদিককে সবসময় পারিপার্শ্বিক সব বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নয়ন সাংবাদিকতায় যেমন সুযোগ সৃষ্টি করেছে তেমনি চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করেছে।

প্রযুক্তির ক্ষতিকর ফাঁদ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সাংবাদিকদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের অগ্রায়ণ ও ৫১ ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, গণমানুষের জন্য কাজ করাই হলো সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিতে হলে সাংবাদিকতাকে ভালোবাসতে হবে। পেশার প্রতি ভালোবাসা থাকলেই সাংবাদিকতা করা সম্ভব। সাংবাদিকতা নেশার মতো আটকে ধরে রাখে সাংবাদিকদের। একজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রজীবনেই নিজের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হবে সে সাংবাদিক হবে নাকি অন্য কোনো পেশায় নিযুক্ত হবে।

অনুষ্ঠানে বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির বলেন, অনেক শিক্ষার্থী সাংবাদিকতায় পড়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায় না। সাংবাদিকতা একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হলেও মহৎ পেশা। সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার আগে কেন নেবেন সেটা নির্ধারণ করতে হবে। সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা নিয়ে মানুষের মাঝে অনেক ভুল ধারণা আছে। যেমন, সাংবাদিকদের ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করতে হয়। কিন্তু আমি বলব সেগুলো ভ্রান্ত ধারণা। সাংবাদিক হিসেবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আপনি কতটুকু কাজ করতে পারছেন সেটাই বড় কথা। প্রযুক্তি সাংবাদিকতায় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ দুটোই সৃষ্টি করেছে। সুযোগ হলো সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারেন। আর চ্যালেঞ্জ বলতে গেলে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে সাধারণ জনগণ বা ব্লগাররা চাইলেই ভুলতথ্য সহজে ছড়িয়ে দিতে পারে। সামাজিক মাধ্যম যে সাংবাদিকদের গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে এমনটা নয়। বরং সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সত্যনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে জনগণের আস্থা তৈরি করাই একজন সাংবাদিককের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের উচিত প্রযুক্তির সহায়তায় সৃজনশীল কাজ শিখে নিজেকে যোগ্যরূপে গড়ে তোলা। নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদ এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।