ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
গাজীপুরে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ 

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি থানা এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী এবং এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।



মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় দুটি ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন সাগর (৩০)। তিনি রংপুরের পীরগাছা থানার শরীফ সুন্দর বাজার এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে।

এজাহার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে বাসা ভাড়া থাকতো বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী। গত ১৯ আগস্ট সকালে ওই কিশোরীর বাবা-মা ঝুট বাছাইয়ের কাজে চলে যায়। এসময় ওই কিশোরী বাসায় একাই ছিল। এ সুযোগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিপন মিয়া (১৯) নামের এক কিশোর বাকপ্রতিবন্ধী ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৩ আগস্ট ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি এজাহার দায়ের করে।
 
এদিকে কোনাবাড়ী থানাধীন হরিনাচালা এলাকায় মা ও ভাইদের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রী বাসা ভাড়া থাকতো। সেখানে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয় ওই স্কুলছাত্রী। প্রতিদিনের মতো গত ২০২১ সালে ১৯ আগস্ট সকালে কোচিং সেন্টারে যায় স্কুল ছাত্রী। এসময় কোচিং সেন্টারের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন সাগর (৩০) ওই ছাত্রীকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নেয়। পরে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলফোনে ভিডিও করে রাখে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও নানান ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে ভিকটিম বিষয়টি কাউকে জানায়নি। পরে চলতি বছরের ৩ মে সকালে ভিকটিম কোচিং সেন্টারে গিয়ে ওই ভিডিও ডিলিট করে দিতে বলে সাগরকে।

এ সময় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাগর তাকে তার অফিস কক্ষে যেতে বলে। পরে ভিকটিম অফিস কক্ষে গেলে তাকে পুনরায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর কিছুদিন পর ২৮ জুলাই সাগর ভিকটিমকে তার অফিস করতে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেয়। এতে ভিকটিম রাজি না হয়ে কৌশলে সেখান থেকে চলে যায়। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ভিকটিম বাসায় কান্নাকাটি করছিল। এ সময় তার মা কারণ জানতে চাইলে ভিকটিম তার মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ২৩ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে। পরে দেলোয়ার হোসেন সাগরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক দুটি ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
আরএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।