পিরোজপুর: পিরোজপুরে ফাতেমা বেগম নামের এক প্রসূতি নারীকে ভুল চিকিৎসায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবং চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) পিরোজপুরের অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রসূতি নারীর স্বামী দিনমজুর মো. হযরত আলী। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম পিরোজপুর পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আবু সালেহ ওমান জানান, পিরোজপুরের পৌরসভার পশ্চিম শিকারপুর এলাকার দিনমজুর মো. হযরত আলীর গর্ভবতী স্ত্রী চলতি বছরের ৩১ মার্চ প্রসব ব্যথা নিয়ে পিরোজপুরের মুসলিম এইড হাসাপালে ভর্তি হয়। পরে ঐ দিনই পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল মাওয়া তার স্ত্রীকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। পরে চিকিৎসক তার স্ত্রীকে ওষুধ লিখে দিয়ে যায়। কিন্তু সেই ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই তার স্ত্রী ফাতেমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরতে থাকে। বিষয়টি ডা. জান্নাতুল মাওয়াকে অবহিত করলে তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি কিছুই করতে পারবে না অন্যস্থানে ডাক্তার দেখাতে বলে।
তারপর তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা ও বরিশালের উন্নত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তাই অপচিকিৎসার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
অসুস্থ ফাতেমার প্রতিবেশীরাও এই অপচিকিৎসার জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়ার বিচার দাবি করেন।
অ্যাড. আবু সালেহ ওমান আরও জানান, প্রসূতি নারী ফতেমা বেগমকে বাচ্চা প্রসবের পরে ভুল চিকিৎসা করে ওভার ডোজ ওষুধ দেওয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরা ও চোখ নষ্ট করার অভিযোগের ন্যায় বিচারের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডাক্তার জান্নাতুল মাওয়া বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে স্বামী মো. হযরত আলী।
তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল মাওয়া বলেন, তার চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিল না।
চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার জন্য ফাতেমার যে ক্ষতি হয়েছে এর ক্ষতিপূরণসহ অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এসএম