হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে মালিকপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
ঢাকায় বৈঠকে অংশগ্রহণের পর শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বাংলানিউজকে এই তথ্য জানান হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ।
বাগান দুটিতে শ্রমিকদের মোট পাওনা পাওনা রয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৭১ হাজার ১৩ টাকা। এর মধ্যে বকেয়া মজুরি ও বোনাস বাবদ ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৮০০, প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ২১৩ এবং থোক বরাদ্দ বাবদ পাওনা আরও ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বকেয়া মজুরি ও বোনাসের ৫২ লাখ টাকা বৈঠকের একদিন পর এবং বাকি টাকা কয়েকটি কিস্তিতে পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রতিমাসে ১০ লাখ করে ৮টি কিস্তিতে এবং থোক বরাদ্দের টাকা পরিশোধ করতে মালিকপক্ষকে সময় দেওয়া হয় তিন মাস।
ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিকপক্ষ একই এবং বকেয়া পরিশোধে সংশ্লিষ্টতায় থাকবেন শ্রম অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ পরিচালক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিষয়ে জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ বলেন, মন্ত্রণালয়ের এসব শর্তাবলি প্রতিপালনে মালিকপক্ষ ব্যর্থ হলে বাগানের ইজারা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানে ৩২৪ জন স্থায়ী এবং ৩৩৫ জন অস্থায়ী শ্রমিক কাজ করেন। বকেয়া পাওনার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মবিরতি এবং লাগাতার আন্দোলনের পর সরকারের পক্ষ থেকে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এসআইএস