ঢাকা: ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমির মালিক হওয়া যাবে না এ বিধান রেখে জাতীয় সংসদে একটি বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এ বিলের বিধান অনুযায়ী ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার আইন করা হচ্ছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ সংক্রান্ত বিলটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
পরে বিলটি অধিকতর যাচাই বাছাইয়ে জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে সাত দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
বিলে বলা হয়েছে, ৬০ প্রমিত বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনো উপায়ে নতুন কোনো কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে আটটি ক্ষেত্রে এটি শিথিল থাকবে।
এদিকে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালি বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না এ ধরনের বিধান রেখে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা' আইনের সংশোধন আনা হচ্ছে। এজন্য জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত আরেকটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল– ২০২৩’ নামে বিলটি তোলেন। এ সংক্রান্ত বদ্যমান আইনে কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা সম্পর্কিত কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।
উপস্থাপিত এ বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না যদি তা উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয় বা কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে বা পরিবেশ প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয় বা ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয় যাতে এ জমিসহ পাশের অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৩
এসকে/আরআইএস