ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৯ বছর পালিয়ে ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রফিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
২৯ বছর পালিয়ে ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রফিক আটক আব্দুল মান্নান ওরফে রফিক মাতুব্বর

ফরিদপুর: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকায় ভাগ্নের হাতে মামা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মান্নান ওরফে রফিক মাতুব্বর (৫২) নামে পলাতক এক আসামিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  

এর আগে তিনি ২৯ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে র‌্যাবের দাবি।

 

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে র‍্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্প।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাবলাতল এলাকা থেকে সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামিকে আটক করা হয়।  

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ৭ জুন আসামি আব্দুল মান্নান তার আপন ছোট ভাই মো. নান্নুর সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদে জড়ান। পরবর্তীকালে একই তারিখ আনুমানিক দেড়টার দিকে আব্দুল মান্নানের আপন ছোট মামা ওসমান খামারু ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বিবাদ মেটানোর জন্য তাদের বাড়িতে আসেন। ওসমান আব্দুল মান্নানের বাড়িতে আসার সঙ্গেই আব্দুল মান্নান তার মামার দিকে দেশীয় অস্ত্র ধারালো বর্শা ছুড়ে মারেন। অতঃপর উক্ত ধারালো বর্শা ভিকটিম ওসমানের বুকের বাম পাশ ভেদ করে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। যার ফলে ওসমান ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।  

আরও জানা যায়, ওই হত্যাকাণ্ডের পর মৃত ওসমানের পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় গ্রেপ্তার আসামি আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আব্দুল মান্নান দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করেছিল। সর্বশেষ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাবলাতল এলাকায় নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে ভুয়া পরিচয় ধারণ করে বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। অতঃপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।