ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩
প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় ছবি- শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেছেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু রাষ্ট্রের মালিকানা এখন জনগণের হাতে নেই।

দলীয়করণ বন্ধ করে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।  

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) 'সর্বব্যাপী দলীয়করণ ও সাজানো প্রশাসন- অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অন্তরায়' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই সেমিনারের আয়োজন করে পলিসি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ সোসাইটি (পিএমআরএস)।

পিএমআরএসের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম।  

এছাড়া আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডিআইজি খান সাইদ হাসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ইফতেখার আহমেদ ও সাবেক যুগ্ম সচিব বিজন কান্তি সরকার।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় গণতন্ত্র ও বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার কর্তৃক জনগণের ভোটাধিকার হরণ৷ আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু রাষ্ট্রের মালিকানা এখন জনগণের হাতে নেই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অসীন হয়েই নানাবিধ চালাকি ও হীন কৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সর্বব্যাপী দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। অথচ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।

মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, প্রশাসনকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে করে ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো আরেকটি নির্বাচন তারা (সরকার) করার সুযোগ পায়। এখন সবার দাবি, এমন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসাতে হবে, যাতে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি আরো বলেন, দেড় দশক ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না গণতন্ত্রহীনতায়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এসব সমস্যা আরো বাড়তে পারে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা স্পষ্ট। কিন্তু পরিকল্পিত সাজানো-গোছানো প্রশাসন রেখে যাকেই নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হোক, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ দলীয়করণ প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এর বিহিত না করে নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর সিস্টেম চাই। আমরা চাই গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতার পরিবর্তন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। সেই দেশের আমলাতন্ত্র পাকিস্তানের মতো হবে কেন? এখান থেকে বের হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৩
এসসি/এসআইএস 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।