সিরাজগঞ্জ: চলতি বছর বড় ধরনের কোনো বন্যা না হলেও যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি দফায় দফায় বেড়ে প্লাবিত হয় সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যায় জমির ফসল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তিন দফায় প্লাবিত হয় যমুনার চরাঞ্চল। যমুনা অধ্যুষিত কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর এবং চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার নিম্নভূমিও প্লাবিত হয়। এসব উপজেলার অন্তত ৪২টি ইউনিয়নের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোপা আমনের বীজতলা, বোনা আমন, আউশ, আখ, শীতকালীন সবজি, মরিচ ও মাসকালাইসহ বিভিন্ন ফসল।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাজিপুর উপজেলায় ১১১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৪১৫১ জন।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, আশাকরি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) বাবলু কুমাস সূত্রধর বলেন, গত দুই মাসে দফায় দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়ে ৯৫২ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
আরএ