নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছের খোপ দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের হামলায় গুলিবিদ্ধ আরেক জেলে ইসমাইল হোসেনের (৩০) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ তিন জেলের মৃত্যু হলো।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার বিকেলে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ চ্যানেলের কাছে ইলিশ মাছের খোপ দখলকে কেন্দ্র করে জেলেদের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল হোসেন সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর আলাউদ্দিন গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
নিহতের মামা রাজা মিয়া জানান, শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পর দুপুরের দিকে ইসমাইলের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। রাত সাতটার দিকে সে মারা যায়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘ দিন থেকে মাছ শিকার করে আসছেন। কিছু দিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খোপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী।
বুধবার বিকেলের দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই খোপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে ২টি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় জেলেদের ২টি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে ৬ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ওই রাতে দুই জেলে মারা যান। তারা হলেন—সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চর মজিদ গ্রামের আবদুর রহমান (৩৩) এবং একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন রাজু (১৬)।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জেলে ইসমাইল হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ে ৩ জেলে মারা গেছে। গোলাগুলি ও নিহতের ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় একটি মামলা করেছে। তবে মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৩
এমজেএফ