গাইবান্ধা: জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন দুইটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রশিদ চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতি সাপেক্ষে গাছ কেটেছেন বলে দাবি করছেন।
অভিযুক্ত বজলুর রশিদ ওই ইউনিয়নের পারবামুনিয়া গ্রামের মৃত নজির হোসেনের ছেলে।
সোমবার (০২ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পরিষদের ভবনের পেছনের জমিতে বেড়ে ওঠা কয়েকটি ইউক্যালিপটাস গাছের মধ্যে দুইটি সম্পূর্ণ কেটে ফেলা হয়েছে। আরও একটি কাটার প্রস্তুতি চলছে।
গাছ কেটে বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত বজলুর রশিদ বলেন, আমাদের বাপ-দাদার জমিতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মিত হয়েছে। পরিষদের পেছনের অব্যবহৃত জমিগুলোতে আমরা দীর্ঘদিন থেকে চাষাবাদ করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় প্যানেল চেয়ারম্যানের মৌখিক অনুমতিতে দুইটি গাছ কেটে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি।
এ ব্যাপারে প্যানেল চেয়ারম্যান শাহীনুর বেগম জানান, গাছ কাটার ব্যাপারে আমি কাউকে কোনো অনুমতি দেইনি। দুপুরে ইউএনওর কাছে ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে চৌকিদার মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে গাছ কাটতে নিষেধ করি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। মোবাইল ফোনে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এফআর