ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ-নিন্দা আইনমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ-নিন্দা আইনমন্ত্রীর

ঢাকা: সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেছেন বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  

একইসঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।  

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেক মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।  

তিনি বলেন, গতকাল গণমাধ্যম সূত্রে আমি জানতে পারলাম, সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আইনমন্ত্রী এক সময় বলেছিলেন, দণ্ড স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই। এটা পারেন শুধু আদালত। অথচ তার কিছুদিন পর নির্বাহী আদেশে দেশনেত্রী বাসায় এসেছিলেন। ’ ফখরুল ইসলাম সাহেবের এই বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। কারণ আমি কোথাও এ ধরনের কথা বলিনি।  

তিনি আরও বলেন, আমি কথা বলার সময় আমার সব বক্তব্য রেকর্ড করা থাকে বলে আমি ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কী বক্তব্য দিয়েছি, সেগুলো চেক করেছি। সেখানে কোথাও এ বক্তব্য নেই। আমি একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও ফৌজদারি আইন-কানুন জানি। তাই আমার পক্ষে এ রকম কথা বলা সম্ভব নয়।  

আইনমন্ত্রী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়ার তুলনা করার চেষ্টা করেছেন। ২০০৮ সালে ছিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শেখ হাসিনা যখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন, তখন তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও কয়েদি ছিলেন না। তখন তিনি সেনা সমর্থিত সরকারের চাপিয়ে দেওয়া সব কটি মামলায় জামিনে ছিলেন।  

ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যারিস্টার তাপস শেখ হাসিনার শুধু আইনজীবীই ছিলেন না, তিনি আইনজীবী টিমের সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই সময়ে সবগুলোতে বেলবন্ড দেওয়ার পর তিনি (শেখ হাসিনা) মুক্ত হয়েছিলেন। তখন তাকে কোনো শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়নি। সে সময়ে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে তার কোনো বাধা-নিষেধ ছিল না। তাই ২০০৮ সালে তার বিদেশ যাওয়ার জন্য কোনো অনুমতি ও নির্বাহী আদেশের দরকার হয়নি।  

তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বিদেশে গেছেন এবং সেভাবে তিনি ফিরে এসেছেন। বরং ২০০৭ সালে বিএনপির নিয়োগ করা জেনারেল মঈন উ আহমেদ ও তার পরিচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখন শেখ হাসিনা বিদেশে গেলে তাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। তিনি সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে দেশে ফিরে এসেছিলেন এবং শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরে তাকে কিন্তু মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। সে ঘটনা আপনারা সবাই জানেন।

মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল একটি দলের মহাসচিব। তার ভালো করে জেনে-শুনে-বুঝে জনগণকে তথ্য দেওয়া উচিত। তার কাছ থেকে জনগণ আশা করে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য। জনগণ তার কাছ থেকে অসত্য-বিভ্রান্তিকর তথ্য আশা করে না। আমরা আশা করি, অসত্য মিথ্যা, ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে আর বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।