ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে পোশাক শ্রমিকবাহী ‘রাব্বি-সেতু’ (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-১০০৪) নামে বাসটি সড়ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চলছিল চার বছর ধরে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় ওই বাসটি হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে রাস্তার পাশে মেরামত করা হচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পর বাসটি ফিটনেসবিহীন বিষয়টি জানাজানি হলে এ ঘটনায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের উদাসিনতাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, গার্মেন্ট কর্মীদের বহনকারী বাসটি সড়কের চলাচলের অনুমতি হারিয়েছে ২০১৯ সালের ১ জুন। সেই সঙ্গে বাসটি ফিটনেস হারিয়েছে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবুও ফিটনিসবিহীন এই বাসটি সড়কে নিয়মিত চলাচল করছিল। তবে বিগত ৪ বছর আগে এই বাসটি বিক্রি হলেও এখনও কাগজপত্রে বাসটির মালিক রয়ে গেছেন টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার মুসিন্দা গ্রামের মো. আবু হানিফ শিকদার।
তিনি বলেন, বাসের কাগজপত্রের মেয়াদ ও অনুমতি না থাকায় চার বছর আগে ঢাকার এক ব্যক্তির কাছে আমি বাসটি বিক্রি করে দিয়েছি।
এ সময় তিনি ছয় ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবরে দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে কাজ করছি। তবে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রোড পারমিট বা অন্যান্য কাগজপত্র ছিল কি না তা এখনও যাচাই করা হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টিবোর্ড থেকে প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ত্রিশাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন জানান, এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমান আহত আরও পাঁচজন মমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
আরএ