ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফার্মগেটে ফুটওভার ব্রিজ চালু হওয়ায় সন্তুষ্ট পথচারীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
ফার্মগেটে ফুটওভার ব্রিজ চালু হওয়ায় সন্তুষ্ট পথচারীরা

ঢাকা: রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় সদ্য চালু হওয়া ফুটওভার ব্রিজ নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে ব্যবহারকারীরা।  

সোমবার (১৬ অক্টোবর) ফুটওভার ব্রিজে সরেজমিন ঘুরে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এর আগে রোববার (১৫ অক্টোবর) ফুটওভার ব্রিজটি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ফার্মগেটের এ এলাকায় সরকারি-বেসরকারি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে এখানে চলাচলকারীদের চাপ থাকে সব সময়ই। আগে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ ছিল। কিন্তু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য পুরোনো ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে এ ব্রিজটি চালু করা হয়। ব্যস্ত এলাকায় ফুটওভার ব্রিজটি হওয়ায় নিচ দিয়ে সড়ক পারাপারে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া ব্রিজটিতে নান্দনিক বাতি, আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ব্রিজটির একাংশে গাছও লাগানো হয়েছে।

ফুটওভার ব্রিজের পথচারী সরকারি বিজ্ঞান কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী স্মিতা হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এখানে সরাসরি সড়ক পারাপারে এতদিন ঝুঁকি ছিল। এমনও হয়েছে আমার যে হাত দিয়ে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হতে গেছি। গাড়ি একদম কাছাকাছি এসে কোনোরকম ব্রেক করেছে। ভয় পেয়েছি। তো এখন ফুটওভার ব্রিজ হওয়ায় নিশ্চিন্তে পার হতে পারছি।

কন্যাসন্তানকে নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পার হচ্ছিলেন তাহমিনা ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ব্রিজটি নতুন করে করা হয়েছে। এটা ভালো একটি উদ্যোগ বলে মনে করি। নতুন ব্রিজটি আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশস্ত ও আধুনিক। যদিও এস্কেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) নেই। থাকলে আরও ভালো হতো, যোগ করেন তিনি।

আরেক পথচারী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখানে ফুটওভার ব্রিজ হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। রাস্তা পারাপারে ঝুঁকি কমলো। তবে এ ব্রিজে এস্কেলেটর যুক্ত হলে আরও ভালো হতো। আশা করি ভবিষ্যতে সেটিও যুক্ত হবে।

রাজধানীর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় বছর আগে ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় আগের ফুটওভার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। ফলে ব্যস্ততম কাজী নজরুল ইসলাম সরণি পার হতে পথচারীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি পোহাতে হতো। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস আগে শেষ হলেও তা বিভিন্ন কারণে খুলে দিতে বিলম্ব হয়।

ব্রিজটি নির্মাণের জন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে। ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে আরও প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

ঢাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে সুপ্রশস্ত ফুটওভার ব্রিজ। ব্রিজটি প্রায় ১৮ ফুট চওড়া। এখানে রয়েছে ছয়টি পকেট, যেখানে দাঁড়িয়ে নিচের রাস্তাসহ আশাপাশে দেখতে পারবেন পথচারীরা। আপতত ফুটওভার ব্রিজটির দুই দিকেই শুধু তিনটি সিঁড়ি বসানো হয়েছে। পরে ব্রিজের দুই প্রান্তেই এস্কেলেটর এবং লিফট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিকভাবে শুধু সিঁড়ি স্থাপন হয়েছে। এছাড়া ওঠা-নামার স্থানে অস্থায়ী দোকানের জন্য প্লাজা নির্মাণসহ ব্রিজের নিচে ‘বাস বে’ ও ‘কার ড্রপ’ সুবিধাও রাখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।