ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সর্বহারা পার্টি থেকে হিযবুত তাহরীরে, ২৭ বছর আত্মগোপনে থেকে গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
সর্বহারা পার্টি থেকে হিযবুত তাহরীরে, ২৭ বছর আত্মগোপনে থেকে গ্রেপ্তার

ঢাকা: নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তিনি চেয়ারম্যান আকবর আলী হত্যা মামলার ৩০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. নিয়ামুল ইসলাম (৪৫), ওরফে শেখ ইমামুল ইসলাম লিটন, ওরফে সুইট, ওরফে রাজা, ওরফে দুলাল, ওরফে রানা। তিনি যশোর জেলার অভয়নগর থানার সিদ্ধিপাশা (কাজীপাড়া) এলাকার শেখ নজরুল ইসলাম মন্ডলের সন্তান।  

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নয়াবাজার আরমানিটোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামি নিয়ামুল ইসলাম ওরফে শেখ ইমামুল ইসলাম নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য হয়ে বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে কাজ করছিলেন।  

২০১৬ সালে যশোর জেলার অভয়নগর থানার সিদ্ধিপাশা এলাকায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে নাশকতার পরিকল্পনাকালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যকে উগ্রবাদী লিফলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ামুল ইসলাম ওরফে শেখ ইমামুল ইসলামসহ অন্যান্য সাত-আটজন কৌশলে পালিয়ে যান এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে।

নিয়ামুল ইসলাম সর্বহারা পার্টি এমএলের (জনযুদ্ধ) সামরিক বিভাগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি চেয়ারম্যান আলী আকবর খান হত্যা মামলাসহ একাধিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। চেয়ারম্যান আকবর আলী খান হত্যা মামলায় আদালত তাকে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের এর দাওয়াত পেয়ে তিনি বামপন্থী সংগঠন হতে ধর্মীয় উগ্রবাদী সংগঠনে যোগ দেন।  

নিয়ামুল দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। আসামি নিয়ামুলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় দুটি, খুলনা জেলার সদর ও তেরখাদা থানায় তিন, যশোর জেলার অভয়নগর থানায় তিনটিসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।