মাদারীপুর: মাদারীপুরে নিজেদের লোকের মাথা ‘ফাটিয়ে’ প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন নিজেরাই।
মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি এলাকায় ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় শহিদ মোল্লার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করেন পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকজন যুবক। এর জের ধরে গত দুদিনে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শহিদ মোল্লার পক্ষ নিয়ে তার ভাগনে শান্তিনগর এলাকার চান্দুর ছেলে অহিদ দ্বন্দ্বের নেতৃত্ব দেন।
দুপক্ষের দ্বন্দ্বে অহিদ গ্রুপের আকাশ নামে এক কিশোর সামান্য আহত হয়। পরে সোমবার রাতে রাস্তি এলাকার হাকিম বেপারীর নামে মামলা দিতে নিজেদের দলের আকাশের মাথায় আঘাত করে জখম করে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন চান্দু ও তার ছেলে অহিদ। পরে তারা আকাশের মাকে হাকিম বেপারীর নামে মামলা দিতে বলেন। কিন্তু আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম সত্যটা জানার পর হাকিম বেপারীর নামে অভিযোগ না দিয়ে উল্টো অহিদসহ কয়েকজনের ব্যাপারে মঙ্গলবার
থানায় অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোর আকাশ বলেছে, আমাকে ভয় দেখিয়ে ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ডাক্তার ডেকে অবশ করার ইনজেকশন দিয়ে আমাকে অবশ করে আমার মাথায় জখম করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম বলেন, যারা মামলা দেওয়ার জন্য আমার ছেলের মাথা ফাটাতে পারে, তারা তো আমার ছেলেকে হত্যা করেও মামলা দিতে পারে। তাই আমি উল্টো ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত অহিদ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। এটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।
হাকিম বেপারী বলেন, আমি এ ঘটনায় জড়িত না, তবুও আমাকে ফাঁসাতে গিয়ে একটি ছেলের মাথায় জখম করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সত্য উদঘাটিত হওয়ায় এখন উল্টো ওদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
এসআই