ঢাকা: পরিবেশ সুরক্ষায় চিংড়ি মহালে অবস্থিত প্রশস্ত ফাঁকা স্থানে সবুজায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চিংড়ি মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশ দেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপার বিবেচনা করেই গ্রহণ করা হয় এবং তা অনুযায়ী কাজ করা হয়। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অনুশাসন রয়েছে।
সরকারের জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের ওপর প্রভাব কমাতে গৃহীত কার্যক্রমে ভূমি মন্ত্রণালয় অন্যতম সহযোগী মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন আইন, ল্যান্ড জোনিং প্রকল্পসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ সময় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করে লবণাক্ততা প্রবণ উপকূলীয় এলাকা, চিংড়ি চাষ ইত্যাদি বিবেচনা করে চিংড়ি মহালে অবস্থিত প্রশস্ত ফাঁকা স্থানে উপযুক্ত উদ্ভিদ রোপণের জন্য বলেন। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের সময় যেন চিংড়ি মহাল নিকটবর্তী বাঁধের ক্ষতিসাধন না হয় সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা জেলার মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং চিংড়ি চাষ ও ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিসহ বিভিন্ন অংশীজন অন্যান্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়া সংক্রান্ত কমিটির ৭৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর এবং মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। হবিগঞ্জ, রাঙামাটি, মৌলভীবাজার এবং নাটোরের জেলা প্রশাসকরা সভায় নিজ-নিজ জেলা থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস