ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবশেষে নিজ ঠিকানায় ঠাঁই হলো মাহে আলমের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
অবশেষে নিজ ঠিকানায় ঠাঁই হলো মাহে আলমের

বাগেরহাট: অবশেষে নিখোঁজের সাত মাস পর আদালতের নির্দেশে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা এলাকায় হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত করা মাহে আলমের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।  

সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার ও মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিনসহ দুই পরিবারের লোকদের উপস্থিতিতে কবর থেকে এই মরদেহ উত্তোলন শুরু হয়।

 

এদিন মাগরিবের নামাজের পরে মোংলার বিএলএস মসজিদ প্রাঙ্গণে মাহে আলমের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে মোংলা পৌর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে হয়।

মাহে আলম মোংলা উপজেলার কেওড়াতলা এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে হিলটন নাথ চিলা গ্রামের বাসিন্দা।

এর আগে গত ৮ নভেম্বর হিল্টন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উত্তোলন করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক খোকন হোসেন।

থানা পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চিলা এলাকার হিলটন নাথ। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাতনামা মরদেহটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ হত্যার বিষয়ে খুলনার দাকোপে এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়।  

কিন্তু মাহে আলমের পরিবারের লোকজন মরদেহটি মাহে আলমের বলে দাবি করেন। পরে নিখোঁজ মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলি আদালত হিলটন হিসেবে সমাহিত মরদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দেন। পরে হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ ও সুমন রানার ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায়, মরদেহটি মাহে আলমের।

এ অবস্থায় সাত মাস পর আদালত গত ৮ নভেম্বর হিল্টন নাথ হিসেবে সমাহিত মরদেহ উত্তোলন করে মাহে আলমের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন।

মাহে আলমের ছেলে সোহেল রানা বলেন, পুলিশ আমার বাবার মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাগরিবের নামাজ শেষে বাবার নামাজে জানাজা হয়েছে। পরে পৌর কবরস্থানে বাবাকে দাফন করা হয়েছে। বাবার মরদেহ পেয়েছি, এটাই আমাদের সান্ত্বনা। এখন বাবার খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে মাহে আলমের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।