ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
মাদারীপুরে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

মাদারীপুর: মাদারীপুরে চেতনানাশক খাইয়ে ইজিবাইক ও ভ্যান চুরির ঘটনায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শরিয়তপুরের নড়িয়ার মুক্তারেরচর গ্রামের মৃত মজিবর প্যাদার ছেলে সাইফুল প্যাদা (২৬), মাদারীপুরের বাজিতপুরের ইস্রাফিল হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (২৫), একই গ্রামের মৃত সাহেব আলী হাওলাদারের ছেলে জাফর হাওলাদার (৫২) ও রাজৈর উপজেলার শ্রীনাথদি বাজিতপুরের মৃত শফিক সরদারের ছেলে খোকন সরদার (৫৮)

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম জানান, গত ১৪ নভেম্বর মাদারীপুরের কালকিনির ভুরঘাটায় সোহেল হাওলাদার নামে এক যুবককে চেতনানাশক খাইয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতরা। পরে গুরুতর অবস্থায় চালক সোহেলকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে নেওয়া হলে ১৬ নভেম্বর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তিনি। এই ঘটনায় একটি মামলা হলে তদন্তে নামে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ নভেম্বর মোস্তফাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজু হাওলাদার ও সাইফুল প্যাদা নামে দুইজনকে। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জাফর হাওলাদার ও খোকন সরদারকে বাজিতপুরে নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ সময় ছিনতাই করা চারটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান জব্দ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি ইজিবাইক ও ভ্যান চুরির সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে সাইফুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।

জেলা পুলিশের তথ্য মতে, চলতি বছরে পাঁচটি থানায় শতাধিক চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ২৫০ জনকে। এর মধ্যে ভ্যান ও ইজিবাইক চুরির ঘটনা আছে ৩০টি।

ইজিবাইক ও ভ্যান চুরির কথা অকপটে স্বীকার করে চোরচক্র। তাদের মধ্যে রাজু হাওলাদার জানান, পেটের দায়ে এই পথ বেছে নিয়েছে তারা। একটি ভ্যান বা ইজিবাইক ১৫-২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তারা। চক্রটিতে কাজ করে চার থেকে ছয়জন সদস্য।

চক্রের মূলহোতা সাইফুল প্যাদা বলেন, আমি বেশ কয়েকটি ভ্যান রাজু হাওলাদারের কাছ থেকে কিনে কিছু লাভে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। মূলত পেটের দায়েই এই চোরাই পণ্য কেনা-বেচা করছি।

মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান সিদ্দিকী শামীম বলেন, মাদারীপুর থেকে চুরি করা ভ্যান ও ইজিবাইক শরিয়তপুরে বিক্রি করে চক্রটি। আর শরিয়তপুর থেকে চুরি করে এগুলো বিক্রি করে মাদারীপুরে। যাতে সহজে মালিকরা এগুলো চিনতে না পারে। এরা সবাই আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্য। এই চক্রের বাকিদের ধরতে চলছে অভিযান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।