ঢাকা: পাঁচ বছর একসঙ্গে কাজ করার সময় সহযোগিতার জন্য মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সচিবদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
বৈঠকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এই ধন্যবাদ জানানো হয় বলেন জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের আগে কি আর মন্ত্রিসভা বৈঠক হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হবে না, এ রকম কোনো তথ্য জানা নেই।
‘তবে আজকে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন যে আজকে প্রতিবেদন উপস্থাপন হয়েছে। সব মন্ত্রী ও সব সচিব ওখানে ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রী মহোদয়, সব সচিবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা প্রতিবেদন তৈরি করেছি, পাঁচ বছর একত্রে তারা কাজ করেছেন সেজন্য। ’
বৈঠকে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ এবং ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ে কোনো আইনের অনুমোদন কনফ্লিক্ট করে কি না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা তো আরেকবার ক্যাবিনেটে আসতে হবে। এটা চূড়ান্ত অনুমোদন নয়।
‘একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো, সংবিধানে বর্তমান যে বিধান আছে সেটা যদি খেয়াল করেন, সেখানে কিন্তু এখন যে সরকার আছে তাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সেই অনুযায়ী তারা এই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন। ’
সরকার যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, সংবিধানে যেটা বলেছে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু আরপিও এবং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বলেছেন যে (নির্বাচনকালীন সরকারের সময়ে) নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, সেটার সঙ্গে এটার কনফ্লিট করে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা যদি মনে করতেন যে কনফ্লিক্ট করতো তাহলে আলোচনা করতেন না।
নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় ছিল কি না- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভায় নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয় না।
আজকে ছিল মন্ত্রিসভার এ বছরের ১৮তম সভা এবং সরকারের বর্তমান মেয়াদের ১২৫তম বৈঠক। আজকের এজেন্ডায় মোট ১২টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এইচএ/