মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গলে মুন হোটেলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের পরিচয় শনাক্তের পর এবার হত্যাকারীকেও গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছেন তারা।
পুলিশ জানায়, অটোরিকশার জন্য হোটেল কক্ষে ইন্তাজ মীর (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে খুন করেন সুজন মিয়া। খুনের পর মৃতদেহ আড়াল করে নিজে গা-ঢাকা দেন। ঘটনার পাঁচদিন পর পুলিশের জালে ধরা পড়েন খুনি সুজন।
নিহত ইন্তাজের কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন বুধবার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে।
পুলিশ জানায়, ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিক অটোরিকশা নিজ হেফাজতে নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন সুজন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নতুন বাজার এলাকায় হোটেল মুন আবাসিক হোটেলের ৩য় তলায় ২০৩ নম্বর কক্ষে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতা ঘেঁটে জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার আসামি মো. সুজন মিয়া (৪৫) হোটেলের ৩য় তলার ২০২ নাম্বার কক্ষ ভাড়া নেয় এবং ওই কক্ষে অবস্থান করতে থাকে। গত ৩০ নভেম্বর রাত আনুমানিক পৌনে ১২টায় অজ্ঞাতনামা একজন লোককে নিয়ে ওই হোটেলের ৩য় তলায় ২০২ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন। আসামি সুজন মিয়ার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরো ১/২জন ব্যক্তিকে ২০২ নম্বর কক্ষে আসা-যাওয়া করার দৃশ্য ধরা পড়ে। পরদিন ১ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ৮টায় টেল হতে বের হয়ে যান সুজন। এসময় হোটেল কর্তৃপক্ষ অপর লোকটির কথা জিজ্ঞেস করলে সুজন বলেন, তিনি তো আগেই হোটেল হতে বের হয়ে গেছেন।
ওসি বলেন, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) হোটেলের ওই কক্ষটি পরিচ্ছন্নকর্মী রুজিনা আক্তার পরিষ্কার করার জন্য কক্ষে প্রবেশ করে পচা দুর্গন্ধ পায় এবং খাটের নিচে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে তা দেখতে পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
বিবিবি/এসএএইচ