ঢাকা: বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কো অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় ৬ ডিসেম্বর এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা এই স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের সকল রিকশাচিত্র শিল্পীদের স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন,আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা বিনির্মাণ ও যানবাহনের যান্ত্রিকীকরণের ফলে বড় শহরগুলোতে রিকশা চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে ধীরে ধীরে রিকশা ও এর নান্দনিক চিত্রকর্ম হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। চিত্রকর্মটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ এই নথিটি প্রস্তুত করে। এই নিবন্ধনের ফলে বিগত আট দশক ধরে চলমান এই চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।
তিনি এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উৎসাহ ও দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরেন।
বিগত ছয় বছর ধরে এই চিত্রকর্মটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে, ২০২২ সালে পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ দেওয়া হলে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ এই অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন।
এছাড়াও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্যারিস বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশের রিকশাচিত্র নিবন্ধিত হওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
টিআর/এসআইএস