ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে পর্নোগ্রাফি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
নারায়ণগঞ্জে পর্নোগ্রাফি চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় খানপুর এলাকা থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ছাত্রী ও মহিলাদের আইডিতে পর্নোগ্রাফি প্রেরণ চক্রের মূল হোতা মাসুদ রানা তন্ময় আহম্মেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় কম্পিউটার পিসি, মনিটর এবং পাঁচটি অ্যানড্রয়েড মোবাইল জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব ১১ এর সিপিসি ১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কুমুদীনি বাগান এলাকার আলী হোসেনের ছেলে মো. মাসুদ রানা তন্ময় আহম্মেদ (৩৪), বরিশালের দুর্গাপুরের মো. হোসেনের ছেলে খানপুর বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মিলন (২৮), খানপুর পোলস্টার ক্লাবের সামনে দূর্জয়ের বাসার ভাড়াটিয়া রুহুল আমিনের ছেলে মো. মাসুম (৩০), কুমুদীনি বাগান এলাকার জাহিদ হোসেনের ছেলে মো. জনি (৩২), বন্দরের কলাবাগের বাদশা মিয়ার ছেলে মাহাবুবুর রহমান (২২)।  

র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় গেছে, পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল হোতা মাসুদ রানার নেতৃত্বে “বন্ধুরা কোথায়” নামে ফেইসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ গড়ে তুলে তারা। গ্রুপের প্রতিটি সদস্য মারাত্মকভাবে পর্নো আসক্ত। গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন নিষিদ্ধ পর্নো সাইট থেকে পর্নোগ্রাফি সংগ্রহ করে একে অপরের নিকট আদান প্রদান করে এবং উক্ত পর্ণ ভিডিওগুলো গ্রুপের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জার গ্রুপ ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রী ও  মহিলাদের মেসেঞ্জার আইডিতে পর্নো ভিডিও প্রেরণের মাধ্যমে, ব্লাকমেইল, অর্থ দাবিসহ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে। এতে করে ভুক্তভোগীরা পারিবারিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় “বন্ধু কোথায়” গ্রুপের সক্রিয় পাঁচ সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন খানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার এবং তাদের ব্যবহৃত পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও একটি কম্পিউটার (ডেক্সটপ) জব্দ করে র‍্যাব। পরে জব্দকৃত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে প্রচুর পরিমাণে পর্নো ভিডিও পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা উক্ত অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেন।

আসামিদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এমআরপি/এসএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।