ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কেন্দুয়ায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি!

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
কেন্দুয়ায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি!

নেত্রকোনা: মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষকরা। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিল।

 

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  

প্রধান শিক্ষক রবিউল আউয়াল তালুকদার ও বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন লোকজন।  

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়টির আয়োজনে র‌্যালি, পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।  
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক রবিউল আউয়াল তালুকদারসহ সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার, রবিউল আউয়াল আলম, হ্যাপী আক্তার ও সোনিয়া রহমান পায়ে জুতা নিয়েই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

বহুলী গ্রামের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, মহান বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে ওই শিক্ষকরা উল্টো শহীদদের অসম্মান করেছেন। স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি জুতা পায়ে নিয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে কখনই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন না। কোনো বিবেকবান মানুষ এমন জঘন্য কাজ করতে পারে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ ব্যাপারে বহুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আউয়াল তালুকদারের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলফোনে বার বার কল করলেও তিনি না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।  

তবে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার পায়ে জুতা নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে সব সময় খালি পায়ে শহীদ মিনারে যাই। তবে এবার পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় আমাদের পায়ে যে জুতা আছে- তা খেয়াল ছিল না।  

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, পায়ে জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।