ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভ্যাকসিন ক্যাম্পে পোষ্য নিয়ে হাজির চাঁদপুরের বিড়ালপ্রেমীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
ভ্যাকসিন ক্যাম্পে পোষ্য নিয়ে হাজির চাঁদপুরের বিড়ালপ্রেমীরা

চাঁদপুর: ‘প্রাণী নির্যাতন বন্ধ করি, তাদের প্রতি যত্নশীল হই’ এ স্লোগানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্লু রোগের বিরুদ্ধে বিড়ালের ভ্যাকসিন ক্যাম্প। আর এই ভ্যাকসিন ক্যাম্পে দেখা মিললো দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির বিড়ালের।

 

নিজের গৃহপালিত পোষ্যকে ভ্যাকসিন দিতে ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের দেশি-বিদেশি বিড়াল নিয়ে হাজির হন চাঁদপুরের বিড়ালপ্রেমীরা।

গত ১৫ ডিসেম্বর চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি মন্দিরের অপরদিকে মদিনা মার্কেটের গলির একটি ভবনের নিচতলায় অস্থায়ী কার্যালয়ে পেট লাভারস অব চাঁদপুর ফেসবুক গ্রুপের উদ্যোগে এই ভ্যাকসিন ক্যাম্প শুরু হয়। এতে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত বিড়ালকে ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুদিনব্যাপী  চাঁদপুরের বিড়ালপ্রেমীদের জন্য  Mass Vaccination প্রোগ্রাম আয়োজন করে পেট লাভারস অফ চাঁদপুর ফেসবুক গ্রুপ  (Pet Lovers of Chandpur Facebook group) । যেখানে নামমাত্র মূল্যে বিড়ালের ফ্লু ও রেবিস টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া বিড়ালের ওজন নিয়ে তাদের হেলথ চেক আপ, কান পরীক্ষা, দাঁত কালার, অন্যান্য চেক-আপ, ডিওয়ারমিং শুধু ওষুধের মূল্য বিনিময়ে এসব সেবা প্রদান করেন ফেসবুক গ্রুপ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিড়ালের কিছু সার্জারি, স্প্রেয়িং বা বন্ধাকরন, খোজাকরন বা নিউটারিং করা হয়ে থাকে।

চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীরা জানিয়েছেন, ফ্লু ভ্যাকসিনটা প্রথম ডোজ দেওয়ার পর এক মাস পর বুস্টার ডোজ দিতে হয়। পরবর্তীতে এক বছর পর পর তা নিতে হয়। অপরদিকে জলাতঙ্ক রোগেরও টিকা এক বছর পর পর দিলে ভালো হয় বলে জানান তারা। যারা বিড়ালকে এমন ভ্যাকসিন দিতে আগ্রহী তারা তাদের ফেসবুক গ্রুপ  Pet Lovers of Chandpur Face book   (পেট লাভারস চাঁদপুর) নামের পেইজে গ্রুপে এড হয়েও যোগাযোগ করে যে কোন সময় বিড়ালের রোগের বিষয়ে চিকিৎসাসেবা বা পরামর্শ নিতে পারবে। অথবা কেউ তাদের ব্যবহৃত ০১৬৪৫১২০৪১৬ এই মোবাইল নাম্বারেও যোগাযোগ করে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন। তারা এক দেড় মাস পর পর চাঁদপুরে এসে বিড়ালকে এমন চিকিৎসাসেবা এবং  ভ্যাকসিন দিয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি প্রাপ্ত (ডিভিএম) ডা. মো. হাসিবুর রহমান সাফা জানান, মূলত শীত মৌসুমে বিড়ালের মহামারি ফ্লু থেকে বাঁচাতে ফ্লু ভ্যাকসিনেশন করা হয়ে থাকে। ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগের বিরুদ্ধে টিকা দিয়ে রাখতে হয়। এমন রোগের লক্ষণ বমি করা, মুখ দিয়ে খাবার দিলে বা ওষুধ দিলে বমির মাধ্যমে তা বের করে দেওয়া হয়। বিড়ালের জ্বর আসে, লালা পড়ে, পটি নরম ও দুর্বল হয়। তখন এমন আক্রান্ত বিড়ালকে বাঁচানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

তিনি আরো জানান, এসব রোগের কারণে মানুষকে মেডিকেশন খরচ ও বেশ বেগ পেতে হয়। এজন্য ভ্যাক্সিনেশন অতীব জরুরি। আমরা প্রোগ্রামে ফ্লু এর পিওর ভ্যাক্সিন দিই। যেটা বিড়ালের ৪টি রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমরা বিড়ালের জলাতঙ্ক রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।