ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এক গ্রামেই ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন

শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এক গ্রামেই ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের গ্রাম দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও। সবুজ-শ্যামল গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি পেশার সঙ্গে জড়িত।

আর এ গ্রামের একই পরিবারে রয়েছে চার জোড়া যমজ সন্তান। আর তাদের আশেপাশে রয়েছে আরও ১৫ জোড়ার অধিক যমজ ভাই-বোন।

তাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে মিল-অমিল থাকলেও বন্ধন বেশ দৃঢ়। যমজ সন্তান নিয়ে অনেকে কটু মন্তব্য করলেও খুশি তাদের পরিবার। একসাথে অনেক গুলো যমজ সন্তান দেখতে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমজ ভাই-বোনের এক অন্যরকম ভালো লাগার দৃশ্য। মলিন আর মনহরি যমজ দুই ভাই। তারা যমজ হিসেবে সবার চেয়ে বয়সে বড়। পরিবারের কাজ নিয়ে নানা ব্যস্ততায় সময় কাটে তাদের। তবে বয়স বাড়লে মিল কমেনি তাদের মধ্যে। একসঙ্গে হাট-বাজারে যাওয়া আর একই পোশাক পরিধান করা আর কৃষি কাজও একসঙ্গে করেন তারা। তাদের সঙ্গেই বেড়ে উঠছে আরও তিন জোড়া যমজ সন্তান। সম্পর্কে তারা তাদের ভাই-ভাতিজা। পাপ্পু-প্রাপ্পু, খুশি-বন্ধন আর নিবিড়-নিলয়। সারাদিন পুরো বাড়ি যেন তারা মাতিয়ে রাখে। একসঙ্গে খেলাধুলা করা, পড়াশোনা করা আর সাজগোজে পার হয় তাদের সময়।  

তারা একজন যেন আরেকজনের প্রতিচ্ছবি। কখনও কখনও তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চলাফেরা একবারে হুবহু মিলে যায়। আবার এর বিপরীতও দেখা যায়। বাড়ি, স্কুল, গ্রাম সবখানেই একই চেহারার জন্য নানানরকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সময় কাটে সবার। তবে এতে সবার প্রতিক্রিয়া বেশ মজাদার। যমজ হওয়ার কারণে তারা সবার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও প্রিয় হয়ে উঠেছে।

তাদের মত এ গ্রামে যমজ রয়েছে ইতি-বিথী, তৃণা-তৃষাসহ আরও ১৫ জোড়া যমজ ভাই বোন। তারা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা ও কর্মরত রয়েছেন। যমজ ভাই-বোন ঘিরে গ্রামটির নাম মজার ছলে অনেকে যমজপাড়া বলেও অভিহিত করছেন।  
যমজ ভাই-বোনদের দেখতে আসা বিশিষ্ট কলামিস্ট নাজমুল হোসেন বলেন, একসঙ্গে একই পরিবারে চার জোড়া যমজ ভাই-বোন দেখে অন্য রকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে।  

বয়স বাড়লেও কমেনি মলিন আর মনহরি নামে দুইজনের চেহারার মিল। বড় ভাই মলিন বলেন, ছোটবেলা থেকে আমরা একসঙ্গে থাকি। আমাদের তেমন কোনো ধরনের ঝামেলাও হয়নি। তবে অনেক মজার স্মৃতি আছে। একজন দোকানে বাকী করলে আরেকজনকে বলতো। ঝামেলা হলেও এটা খুব ভালো লাগতো৷ 

পাপ্পু ও প্রাপ্পুর মা বিদিশা রাণী বলেন, তাদের মধ্যে মিল যেমন বেশি আবার ঝগড়াও বেশি। একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করে। খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া সবই একসঙ্গে। এটি বেশ ভালো লাগে। যমজেরা আমাদের সংসারে আশীর্বাদ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার রায় বলেন, ১৫ জোড়া যমজ একই গ্রামের বিষয়টি ইউনিয়ন ও জেলাজুড়ে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। আমরা তাদের পাশে ছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।