ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে না: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে না: শেখ হাসিনা

ঢাকা: সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করছে। বিশেষ ফায়দা নিতে ধর্মের নামে এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবন প্রাঙ্গণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিই।

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কী অর্জন করছে তারা, এটাই প্রশ্ন। আমরা চাই সংঘাত বন্ধ হোক। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনী ফায়দা করবে এটা এদেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। মানবতার কল্যাণ করাই ধর্মের শিক্ষা।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করা এটা কখনো কাম্য না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদ অধিবেশনের এক ভাষণে বলেছিলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। ” এই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের ক্ষতি করা, এটা কখনোই কাম্য না এবং সেটা আমরা চাই না।

তিনি বলেন, ধর্মীয় সংঘাত হোক সেটা আমরা চাই না। ধর্ম পালনে কেউ বাধা সৃষ্টি করুক, সেটাও চাই না।

বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এবং সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই। যদিও মাঝে অনেক বাধা এসেছি, বিপত্তি এসেছে কিন্তু যখন থেকে আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে তখন থেকে এই নীতি আমরা মেনে চলছি যে, স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সেই উৎসব আমরা আয়োজন করি। কারণ এ দেশে মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ সকলে; যত ধর্মের মানুষ আছে সবাই যার যার ধর্মীয় উৎসব, তারা ধর্ম যেমন স্বাধীনভাবে পালন করতে পারেন, উৎসবটাও আমরা সকলে মিলেই কিন্তু আনন্দটা উপভোগ করি। এটা বোধ হয় বিশ্বের কাছে একটা বিরাট দৃষ্টি আমরা মনে করি। কাজেই এটা আমরা ধরে রাখতে চাই।

সারা বিশ্বে যারা সংঘাতে লিপ্ত তাদের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্য হলো, যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান প্যালেস্টাইন, আজকে সেখানে রক্তক্ষয়ী আক্রমণ চলছে। হাসপাতালে আক্রমণ। ছোট ছোট শিশু-নারী, কেউ বাদ যাচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য সত্যিই খুব দুঃখের বিষয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যখন যেখানে সুযোগ পাচ্ছি, এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এমইউএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।