ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রান্সজেন্ডার শব্দ প্রত্যাহারের দাবি, না মানলে ফের কর্মসূচি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
ট্রান্সজেন্ডার শব্দ প্রত্যাহারের দাবি, না মানলে ফের কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে একদল শিক্ষার্থী।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রবীর কুমার স্বাক্ষরিত ভর্তি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২০২৩-২৪ সালের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ‘উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস ও ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া) কোটায় ভর্তি প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ওই ইউনিটের ডিন অফিস থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন পূর্বক নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিজড়া’ শব্দের সঙ্গে উল্লেখিত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে চলতি মাসের ২১ ডিসেম্বর রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে এই দলটি। পরে উপাচার্য বরাবর শব্দটি প্রত্যাহার চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা শুধু হিজড়াদেরই বোঝানো হয় না। বরং যারা নিজের খেয়াল-খুশিমত নিজেকে ছেলে বা মেয়ে দাবি করবে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোটার অধিকারের পক্ষে। আমাদের তিন দফা দাবির অন্যতম একটি হলো হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু ট্রান্সরা সমাজ ও সংস্কৃতি পরিপন্থি। এরকম একটি শব্দ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত করে দেশীয় কৃষ্টির ওপর আঘাত করা হয়েছে। আমাদের দেশজ সংস্কৃতি রক্ষায় এই শব্দটি প্রত্যাহার করা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, যেহেতু ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বিতর্কিত এবং এর দ্বারা হিজড়া ছাড়াও স্ব-ইচ্ছায় যারা লিঙ্গ পরিবর্তন করে তাদেরও বোঝানো হয়—তাই আমরা এর প্রত্যাহার চাই। উপাচার্য মহোদয়ও ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বলতে হিজড়াদের বুঝিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। যেহেতু দুই পক্ষের বোঝাতে কোনো দ্বিমত নেই, তাই আমরা আশা করব শিগগিরই শব্দটি প্রত্যাহার করা হবে।  

সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের নিন্দা জানান তারা।  

সংবাদ সম্মেলনে আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান রাফি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক ইবনে মুহাম্মদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ  সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।