ফেনী: ফেনীর পরশুরামে উত্তর বাউরখুমা এলাকার একটি বসতঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী লাকী আক্তার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলি আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পরশুরাম মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম (৫০) ও পুলিশ কনস্টেবল শেফালীকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অপর আসামি পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার করিম ও তার দুই ছেলে মো. হালিম (১৯) ও মামুন (২৬), একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে শাবলু (৩০)।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফ উদ্দিন মজুমদার জানান, এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আইনবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছেন। লাকী আক্তার ৩ বছর আগে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সির হাট থেকে পরশুরাম উপজেলার বাউরখুমা এলাকায় এসে নতুনভাবে বসতি স্থাপন করেন। লাকী আক্তারের তিন মেয়ে। তাদের হালিম, মামুন, শাবলু বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করে। এ বিষয়ে লাকী আক্তার মেয়র ও পরশুরাম মডেল থানায় কয়েকবার অভিযোগ করেছেন। এদিকে করিমের সঙ্গে লাকী আক্তারের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
বাদী কিছুদিন আগে ইসলামী ব্যাংক পরশুরাম শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ গ্রহণের বিষয়টি জানতে পেরে হালিম, মামুন, শাবলু ও করিম টাকাগুলো আত্মসাৎ করতে পরামর্শ করেন। ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর লাকী আক্তারের বাড়িতে মাদক রয়েছে বলে এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী অভিযান চালায়। কিন্তু তল্লাশি করে কোনো মাদক পায়নি।
একপর্যায়ে এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী বাদীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ৪ লাখ টাকা, ১ লাখ টাকা মূল্যের ১টি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরে একটি টমটম গাড়ির চার্জারও নিয়ে যায়। তারা লাকী আক্তারের নাবালক ছেলে শাকিব ও মেয়ের জামাতা জিয়াউর রহমানকে মারধর করে। এসময়ে হালিম, মামুন, শাবলু বাদী ও তার মেয়েদের যৌন হয়রানি করেন। ছেলে ও মেয়ের জামাতার নামে পরশুরাম মডেল থানায় মিথ্যা মাদক মামলা দায়ের করেন। এর আগেও এসআই মোয়াজ্জেমের নামে আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এসএইচডি/আরএ