ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরশুরামে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
পরশুরামে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

ফেনী: ফেনীর পরশুরামে উত্তর বাউরখুমা এলাকার একটি বসতঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আশিকুর রহমান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী লাকী আক্তার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পরশুরাম আমলি আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।  

মামলায় পরশুরাম মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম (৫০) ও পুলিশ কনস্টেবল শেফালীকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অপর আসামি পরশুরামের উত্তর বাউরখুমা এলাকার করিম ও তার দুই ছেলে মো. হালিম (১৯) ও মামুন (২৬), একই গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে শাবলু (৩০)।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফ উদ্দিন মজুমদার জানান, এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আইনবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছেন। লাকী আক্তার ৩ বছর আগে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সির হাট থেকে পরশুরাম উপজেলার বাউরখুমা এলাকায় এসে নতুনভাবে বসতি স্থাপন করেন। লাকী আক্তারের তিন মেয়ে। তাদের হালিম, মামুন, শাবলু বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করে। এ বিষয়ে লাকী আক্তার মেয়র ও পরশুরাম মডেল থানায় কয়েকবার অভিযোগ করেছেন। এদিকে করিমের সঙ্গে লাকী আক্তারের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।  

বাদী কিছুদিন আগে ইসলামী ব্যাংক পরশুরাম শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ গ্রহণের বিষয়টি জানতে পেরে হালিম, মামুন, শাবলু ও করিম টাকাগুলো আত্মসাৎ করতে পরামর্শ করেন। ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর লাকী আক্তারের বাড়িতে মাদক রয়েছে বলে এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী অভিযান চালায়। কিন্তু তল্লাশি করে কোনো মাদক পায়নি।

একপর্যায়ে এসআই মোয়াজ্জেম ও শেফালী বাদীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত ৪ লাখ টাকা, ১ লাখ টাকা মূল্যের ১টি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরে একটি টমটম গাড়ির চার্জারও নিয়ে যায়। তারা লাকী আক্তারের নাবালক ছেলে শাকিব ও মেয়ের জামাতা জিয়াউর রহমানকে মারধর করে। এসময়ে হালিম, মামুন, শাবলু বাদী ও তার মেয়েদের যৌন হয়রানি করেন। ছেলে ও মেয়ের জামাতার নামে পরশুরাম মডেল থানায় মিথ্যা মাদক মামলা দায়ের করেন। এর আগেও এসআই মোয়াজ্জেমের নামে আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এসএইচডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।