ঢাকা: রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদিকে, ভোট বর্জন করে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু করে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সন্ধ্যা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল চলছে।
বিকেল থেকে এসব পরিবহন আরও কমতে থাকে। মূলত নাশকতার শঙ্কায় সড়কে যানবাহন কমে গেছে বলে মনে করছে সাধারণ জনগণ।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী টার্মিনাল ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা গেছে, মহাখালী টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও হাতে গোনা কয়েকটি। সবচেয়ে বেশি এনা পরিবহনের বাস ছেড়েছে। বাংলানিউজের প্রশ্নে এই পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, যেভাবে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে, মনে একটু শঙ্কা আছে। তবে আমাদের পরিবহনের বাস চালু আছে। .
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও নাশকতার কারণেই সড়কে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়িও কম দেখা গেছে। এ ব্যাপারে কথা হলে গাজীপুর পরিবহনের চালক আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ভোটের আগের রাত। শুক্রবার ট্রেন পোড়ালো। আমরা তো গরিব মানুষ। পেটের দায়ে বাস চালাই। অনেকেই আছে যারা বন্ধ রেখেছে। সব মিলিয়ে গণপরিবহন কিছুটা কম।
মাছুম কামাল নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। কিন্তু নাশকতার আশঙ্কায় বের করছি না। জরুরি কারণে উত্তরা যাবো, গণপরিবহনও তেমন পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে ভোগান্তি কিছুটা পোহাতে হচ্ছে। আগামীকাল ভোট, হরতালেরও শেষ দিন। এরপর থেকে কি হবে জানি না। কেউ তো আর জেনে নিজের সম্পদ নষ্ট করে না। তাই আমার মতো অনেকেই নিজেদের গাড়ি বের করছেন না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর ৭২ ঘণ্টা দেশজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। শনিবার দিনভর সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সেটিও অন্যান্যদিনের মতো নয়।
ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলও বন্ধ থাকবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন রোববার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে ভোটের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত বাইক চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক বা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলতে পারবে। এজন্য রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন নিতে হবে এবং স্টিকার প্রদর্শন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪
এমকে/এমজে