ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একশ গ্রামও মিলবে মুরগির মাংস

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
একশ গ্রামও মিলবে  মুরগির মাংস

খাগড়াছড়ি: সচরাচর খাসি কিংবা গরুর মাংস কেজি হিসাবে বিক্রি করা হয়। তবে সাধারণত ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বড় ও ছোট আস্ত মুরগি কিনতে হয়।

তবে পাহাড়ের হাটবাজারগুলোতে দৃশ্যটি ব্যতিক্রম। এখানে চাহিদা অনুযায়ী কয়েক পিস মুরগির মাংস কিনতে পারবেন। এসব হাটবাজারে একশ গ্রাম থেকে শুরু করে যার যত চাহিদা তিনি তত টুকুই কিনতে পারবেন।  

কয়েক বছর ধরে হাটবাজারগুলোতে পাহাড়িরা এভাবে মুরগির মাংস বিক্রি করেছেন। তবে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এ ব্যবসার চাহিদা বেড়েছে। যাদের আস্ত মুরগি কেনার সামর্থ্য নেই তারা পরিবারের জন্য চাহিদা অনুযায়ী মাংস কিনতে পারবেন।

সরেজমিনে খাগড়াছড়ির গঞ্জপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট দোকানগুলোতে জবাই করা দেশি কিংবা ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পিস করে বিক্রি করা হচ্ছে এসব মাংস। মুরগির যে অংশ প্রয়োজন সেটুকুই ছোট ছোট পিস করে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে প্রথমে মুরগি জবাই করা হয়। তারপর গরম পানি দিয়ে লোম ছাড়িয়ে মুরগিতে হলুদ মেশানো পানির প্রলেপ দিয়ে হালকা আঁচে পোড়ানো হয়। এতে মুরগির লোম পুড়ে যাওয়ার পর তা পরিষ্কার করে বিক্রির জন্য দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়। শুধু খুচরা মুরগি নয় খাবার হোটেল কিংবা সামাজিক আয়োজনের জন্য এখানে কেটে মুরগির মাংস বিক্রি হয়।

মুরগি বিক্রেতা আথং মারমা জানান, দৈনিক ২০ থেকে ২৫টি মুরগি বিক্রি করি। যার যতটুকু চাহিদা ততটুকু কিনতে পারবেন। মুরগির যে অংশ থেকে নিতে চান তাই দেওয়া হয়। বাসায় নিয়ে কাটার ঝামেলা নেই। পাহাড়ের বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার, সোনালি, লেয়ার ও দেশি মুরগির মাংস বিক্রি হয়। ব্রয়লার কেটে বিক্রি করছে হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫০ টাকায়, দেশি মুরগি ৬৫০ টাকায়।  

তিনি জানান, একটি এক কেজি ওজনের মুরগি কাটার পর তার চামড়া, লোম ও নাড়ি ভুঁড়ি ফেলে দিলে থাকে ৬০০ গ্রাম। এ কারণে মুরগির মাংসে দামের পার্থক্য দেখা দেয়।  

সপ্তাহে প্রতিদিন খাগড়াছড়ির ছোট ও বড় সব বাজারে এসব কাটা মুরগির মাংস বিক্রি করা হয়। তবে হাঁট বাজারে কাটা মাংস বিক্রি হয় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে। কাটা মাংসের কারণে আর্থিক সংকটে থাকা মানুষরা মুরগির মাংসের চাহিদা মেটাতে পারছে।

স্থানীয় মুরগি ক্রেতা জেকি চাকমা জানান, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় সবাইতো আর আস্ত মুরগি কিনতে পারে না। তাই মুরগির মাংস পিস হিসেবেও বিক্রি হয়। সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই কিনতে পারবেন। আগে যেখানে আস্ত মুরগি কিনতে হতো সেখানে আধা কেজিতে সংসার চালাতে পারছি।

মুরগি বিক্রেতা মংসিননু মারমা বলেন, আগে কাটা মুরগি বিক্রি করে অনেক লাভ করতে পারতাম। এখন খুব কম হয়। আগের চেয়ে মুরগির দাম বেড়েছে। তাই সীমিত লাভে বিক্রি করতে হয়। যারা বাসায় কাটা-ছেঁড়া করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না তারা সহজে এখান থেকে কাটা মাংস কিনতে পারে। কেউ চাইলে একশ গ্রামও মাংস কিনতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।