ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা: একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি কমে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সূর্যের দেখা নেই, বৃষ্টির মতো ফোঁটা ফোঁটা পড়ছে ঘন কুয়াশা।

সঙ্গে হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতের অনুভূতি স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত করছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।  

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় শীত থেকে রক্ষা পেতে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন শহরের অভিজাত মার্কেটসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

চুয়াডাঙ্গা শহরের সমবায় নিউমার্কেট, আব্দুল্লাহসিটি, প্রিন্সপ্লাজা, পুরাতন গলির মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট এবং ফুটপাত মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে গরম কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। অভিজাত মার্কেটগুলোতে সোয়েটারের দাম বেশি হলেও ফুটপাতের দোকানে একটি সোয়াটারের দাম ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বাচ্চাদের কাপড় ৬০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, মাফলার ৫০ থেকে ২০০ টকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করছে নিম্নবিত্ত দরিদ্র মানুষরা।

কয়েকজন ক্রেতা বলেন, শীত বাড়লেই পরিবারের সবার জন্যে শীতের পোশাক ক্রয় করা লাগে। অভিজাত মার্কেটগুলোতে পোশাকের যে দাম তাতে আমাদের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব হয় না। তাই অল্প টাকায় বেশি পোশাক কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলো থেকেই কিনতে হয়।

ফুটপাতের কয়েকজন শীতবস্ত্র বিক্রেতা জানান, এখানে সব বয়সী মানুষের পোশাক বিক্রয় হচ্ছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। শীত বেশি পড়লে ব্যবসা অনেক ভালো হয় এবং শীত কম হলে বেচা কেনা কম হয়। বড়দের জ্যাকেট, সোয়েটার, কোট, বাচ্চাদের কাপড় পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম তুলনামূলক একটু কম হয়। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। দাম একটু বেশি করে চাওয়া হয়। তাই দর কষাকষি করে কিনতে হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।