ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণ: অ্যাটেনডেন্ট বরখাস্ত, হচ্ছে বিভাগীয় মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণ: অ্যাটেনডেন্ট বরখাস্ত, হচ্ছে বিভাগীয় মামলা

লালমনিরহাট: চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। সে মামলারও প্রস্তুতি চলছে।

সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালে আক্কাছ গাজী খোরপোষ বাবদ অর্ধেক বেতনপ্রাপ্ত হবেন বলেও জানানো হয়েছে।

আক্কাছ গাজী বরিশাল সদরের পাতাং এলাকার বাসিন্দা। তিনি সেলুন বেয়ারা (ভারপ্রাপ্ত অ্যাটেনডেন্ট) হিসেবে লালমনি ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে কর্মরত। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি ময়মনসিংহ। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন আক্কাছ গাজী। একই দিন বিকেলে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে পুলিশ।

মামলার বিরবণে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুলবশত ওই স্কুলছাত্রী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়ে।

টিকিট চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় অ্যাটেনডেন্ট আক্কাছ গাজী মেয়েটিকে নিজের কক্ষে নিয়ে যান। টিকিট না থাকার অজুহাতে মেয়েটিকে ওই কক্ষে আটকে রাখেন। এক পর্যায়ে কেবিন ফাঁকা পেয়ে বুধবার সকাল ৮টার দিকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটির চিৎকার-চেঁচামেচিতে ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে আক্কাছ গাজীকে হাতেনাতে আটক করেন।

ভুক্তভোগীর পরিবারের কাউকে না পেয়ে ধর্ষণের ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল আমীন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো থানায় পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী। তিনি জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার বাবা ও ভাই রওয়ানা দিয়েছেন। তারা পৌঁছালে ওই স্কুলছাত্রীকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

অপরদিকে গ্রেপ্তার আক্কাছ গাজীকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এইচএ/

** চলন্ত ট্রেনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, হাতেনাতে গ্রেপ্তার অ্যাটেনডেন্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।