ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রেগুলেটর না, ফেসিলিটেটর হিসেবে কাজ করবে বিটিআরসি: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
রেগুলেটর না, ফেসিলিটেটর হিসেবে কাজ করবে বিটিআরসি: পলক

ঢাকা: টেলিযোগাযোগ খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন, সেবার মান বৃদ্ধি, বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে বিটিআরসি পলিসি প্রণয়ন, রেগুলেশনের পাশাপাশি ফেসিলিটেটর হিসেবেও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রযুক্তিনির্ভর মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসির অসামান্য অবদান আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিটিআরসিকে আরও উদ্ভাবনী কার্যক্রম নিয়ে তরুণদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ, রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের উৎস ও সম্ভাবনা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।

পলক বলেন, শুধু রাজস্ব না, দেশে নতুন প্রযুক্তির আবাহন, উদ্ভাবনী সল্যুশনের মাধ্যমে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর সদস্যসহ এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি মূল স্তম্ভ তথা স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ইশতেহার ঘোষণার পর বিগত ১৫ বছরে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসি উদ্যোগ নেবে বলেও জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল, সিস্টেমস্ অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান এবং লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডু। কমিশন সচিব মো. নূরুল হাফিজ সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
এমআইএইচ/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।