নরসিংদী: নরসিংদীতে সুমন মিয়া ওরফে কালা সুমন (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় নরসিংদী শহরের চিনিশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ঘোড়াদিয়া এলাকার মোল্লা বাড়ি মসজিদের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত কালা সুমন ঘোড়াদিয়ার সংগীতা এলাকার ছোবান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে দাসপাড়া এলাকার একটা খানকা শরীফ থেকে সংগীতার দিকে ফিরছিল কালা সুমন। পরে পশ্চিম ঘোড়াদিয়ার মোল্লবাড়ি মসজিদের সামনে পৌঁছালে চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাদিব তামজিদ জুয়েল ও তার ভাই সোহেল, খায়রুল ও রাজ্জাকসহ পাঁচ থেকে জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে। এসময় কালা সুমনকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে সুমনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী নিপা বেগম বলেন, সংসদ নির্বাচনে আমার স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের নির্বাচন করায় আমার স্বামীকে প্রায়ই জুয়েল, তার ভাই সোহেল মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। আজ শেষ পর্যন্ত আমার স্বামীকে তারা মেরে আমাকে বিধবা করেছে এবং আমার দুই মেয়েকে করেছে এতিম। আমি তাদের বিচার চাই।
এলাকাবাসীরা জানায়, নিহত সুমন মিয়া ওরফে কালা সুমন এক সময় ইউপি সদস্য জুয়েল মেম্বারের অনুসারী ছিল। বর্তমানে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে জানতে জুয়েল মেম্বারের মোবাইলে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, নিহত সুমনের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তার তদন্ত চলছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছি। মরদেহ ঢাকায় রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
এসএম