ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিআরটিএর সেবা নিতে আসা গাড়ির লাইন রাস্তায়, মিরপুরে যানজট

সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
বিআরটিএর সেবা নিতে আসা গাড়ির লাইন রাস্তায়, মিরপুরে যানজট ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: যানবাহনসহ সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার কাজ করে থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মিরপুর কার্যালয়ের সামনে তাদের ফিটনেস চেকিং ও নম্বরপ্লেট দেওয়ার কার্যক্রম ঘিরে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা।

সেখানে সেবা নিতে আসা যানবাহন সড়কের একাংশে দাঁড় করিয়ে রাখায় তৈরি হচ্ছে যানজট। এতে ভোগান্তি হচ্ছে ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা লোকজনের।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকায় বিআরটিএর কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের ফটকে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা রেখে রাস্তার প্রায় বেশিরভাগ অংশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ওই সিএনজি অটোরিকশার পেছনে সেবাপ্রত্যাশী মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও অন্যান্য গাড়ি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে রাস্তার ওপরেই চলছে গাড়ির ফিটনেস চেক ও সার্টিফিকেট দেওয়া এবং নম্বরপ্লেট লাগানোর কাজ। আর যে সামান্য রাস্তাটুকু আছে, তা দিয়ে কোনোমতে চলাচল করছে যানবাহন। এতে ওই সড়কে তৈরি হয়েছে যানজট।

সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিআরটিএর এ কার্যক্রম চলে। বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনের সড়কের একাংশে সেবাপ্রত্যাশী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকার ফলে বাকি অংশে দেখা দেয় ধীরগতি, যা এক সময় যানজটে রূপ নেয়। এ যানজট কখনো কখনো মিরপুর ১৪ নম্বর পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।  

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের ১৩ নম্বর ট্রাফিক বক্সের টিআই মো. মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিগত কয়েদিন যাবত এখানে ঝামেলা হচ্ছে। বিআরটিএর কাগজ করতে আসা গাড়ির ফিটনেস চেক ও নম্বরপ্লেট লাগানোর কাজ চলছে বলে এই যানজট। শুনেছি আমাদের স্যারদের সঙ্গে কথা বলে একটা লেন ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি নিয়েছে তারা। আর সেই সুযোগে এখানে এত গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণ কীভাবে সম্ভব?

তিনি বলেন, আমিসহ দুইজন সার্জেন্ট ও দুইজন ট্রাফিক সদস্য সকাল-বিকেল কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও পুরোপুরি যানজট নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। নম্বরপ্লেট ও ফিটনেস চেকিংয়ের কাজ যদি অন্যত্র করা হয়, তবে যানজট কিছুটা কমানোর সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর মিরপুর কার্যালয়ের পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ট্রাফিকের সঙ্গে কথা বলে একটা লাইনে গাড়ি দাঁড় করানোর মৌখিক অনুমতি নিয়েছি, কারণ পাবলিকের সার্ভিসটা তো দিতে হবে। বিআরটিএর বাইরে যদি কোনো অসাধু লোক বা দালাল, এমনকি আমাদের আনসার সদস্য যদি রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে বা রাস্তা বন্ধ করে, তবে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।

যখন গাড়ির চাপ একটু বেশি থাকে তখন বিআরটিএ কার্যালয়ের ভেতরে জায়গা না থাকলে রাস্তার ওপরে চাপ পড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টির সমাধান কীভাবে করা যায় সে ব্যাপারে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।

কাগজের জন্য বিআরটিএর সামনের সড়কে অপেক্ষায় আছেন প্রাইভেটকারচালক মো. রহমান (৪৫)। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে অনেক লম্বা লাইন পার করে এ পর্যন্ত এসেছি। গাড়ির কাগজ করতে এলে আমাদের একটি দিন এভাবে নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের গাড়ি ভেতরে প্রবেশ না করালে রাস্তায় রাখা ছাড়া তো কোনো উপায় দেখি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৪
জিএমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।