ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: আসামি মেহেরাজের স্বীকারোক্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: আসামি মেহেরাজের স্বীকারোক্তি

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি মেহেরাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৮ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম ওই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দি দেওয়া আসামি মেহরাজ উদ্দিন (৪৮) চরওয়াপদা ইউনিয়নের নুরুল আমিনের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বারের সহযোগী।  

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি মেহরাজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ও মেহরাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, নির্যাতিত শিশু আদালতে ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দেয়।    

মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্র জানায়, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে সিঁধ কেটে বসত ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) মো. মেহরাজকে দিয়ে ঘরে সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২) নিয়ে ওই ঘরে ঢুকে পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। পুলিশ ঘটনার পর পরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোঁদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।    

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রধান, হারুনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় নির্যাতিতাদের কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে মেয়ের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদের প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি দেয়।

মূলত হারুন গৃহবধূর বসতঘরে মালামাল আছে বলে মেহেরাজকে চুরি করতে ইন্ধন যোগায়। মেহরাজ রাজী হলে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর হারুনের সঙ্গে মুন্সী মেম্বারকে দেখে মেহরাজ অবাক হয় এবং বুঝতে পারে ধর্ষণ করতেই তাকে দিয়ে চুরির নাটক সাজানো হয়।  

আরও পড়ুন:

** ধর্ষণের জন্যই সিঁধ কাটা হয়, নাটক সাজাতে করা হয় চুরি: এসপি

** মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বহিষ্কার

** সুবর্ণচরে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

** সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।