ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হাজারও দর্শকের মন মাতালো ঐতিহ্যের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
হাজারও দর্শকের মন মাতালো ঐতিহ্যের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা

সিরাজগঞ্জ: জেলায় হাজারও দর্শকদের মন মাতালো ৫২ বছর ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। বাহারি নামের ঘোড়াগুলোর একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার দৃশ্য ছিল অনেকের কাছে উপভোগ্য।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ডুমুর গোলামী মাঠে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। অন্তত ২০ হাজারেরও বেশি দর্শক উপস্থিত হয়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এ খেলাটি উপভোগ করেন।

প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সাত দিন ধরেই ডুমুর গোলামী এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ। ঘোড় সওয়াররা ঘোড়া নিয়ে এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তে ছুটে বেড়ান। সওয়ারদের
চাবুকের ঘা, ঘোড়ার চিহিহি শব্দের পাশাপাশি ঘোড়ার খুরের আওয়াজের তালে তালে দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

সাত দিনব্যাপী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় বগুড়া, পাবনা, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার ছোট-বড় বাহারি রং ও নামের অন্তত ৭০টি ঘোড়া অংশগ্রহণ করে। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার পাশাপাশি গ্রামীণ মেলাতেও ছিল মানুষের ভিড়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমুর গোলামী গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। আয়োজকরা জানান, ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরই ডুমুর গোলামী মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সিরাজগঞ্জ ছাড়াও পাবনা, নাটোর, বগুড়া, দিনাজপুর, জামালপুর, রাজশাহী ও লালমনিরহাট থেকে ঘোড়া নিয়ে আসেন ঘোড় সওয়াররা। রাজাবাবু, মুছা বাবা, পাওয়ার হর্স, বাহাদুর, স্বপ্নের রানী, নাগরাজ, বাটুল, রাজাবাবু, দুলদুল টাইগারসহ বিভিন্ন নামের
ঘোড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তারা।

সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে আসা দর্শকরা বলেন, ঘোড়দৌড় একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা। এটি উপভোগ করতে তারা প্রতি বছরই এখানে ছুটে আসেন। প্রতিযোগিতা দেখে যথেষ্ট আনন্দ উপভোগ করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।